নগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডের আদি বাসিন্দা বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। পিতা মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন ও মাতা মেহেরুন নেছা জন্মেছেন ১৬ জানুয়ারি ১৯৫৬। শিক্ষাগত যোগ্যতা : এম এ (অনার্স)
তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি ৬৯’র গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। পাকসেনাদের বর্বরতা বৃদ্ধি পেলে তিনি সীমান্ত পার হয়ে ভারতের বশিরহাটে যান। সেখানে বৃহত্তর খুলনা মুজিববাহিনীর প্রধান শেখ কামরুজ্জামান টুকু’র সাথে দেখা করে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে যাবার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। উত্তর প্রদেশে দেরাদুন মিলিটারি একাডেমি টাণ্ডুয়ায় ৪৫ দিন বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশে প্রবেশ করে পাইকগাছার পাতড়াবুনিয়া বিএলএফ ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখান থেকে লিডার মোল্লা মোশারেফ হোসেনের নেতৃত্বে ফকিরহাট থানায় দেয়াপাড়া গ্রামে পৌঁছান। দেয়াপাড়া স্কুলে ক্যাম্প স্থাপন হয়। তাদের অবস্থান জানতে পেরে রাজাকাররা তাদের ক্যাম্প আক্রমণ করে। ক্যাম্পে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সুসংগঠিত হয়ে খুলনা শহর দখলের পরিকল্পনা করে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে তিনদিন যুদ্ধের পর পাকসেনারা আত্মসমর্পণ করে। খুলনা শহরের আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ৩১ জানুয়ারি ঢাকা স্টেডিয়ামে অস্ত্র জমা দেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। কর্ণেল পদোন্নতি পাওয়ার পর সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অনন্য অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
খুলনা গেজেট/এইচ